“চুল যখন যেতে চাচ্ছে, তাকে চলে যেতে দাও”, এমন স্বান্তনামুলক বাক্য শুনছিলাম আমারই এক পরিচিত বান্ধবী মৌ থেকে! এত ঘন চুল ছিল তার,কয়েকমাসে একেবারে নিমিষেই পাতলা হয়ে গেল। এক পর্যায়ে আমি সমাধান নিয়ে আলোচনা করা শুরু করলে, সে ঠাট্টার ছলে উক্ত বাক্যটি বলে হা-হুতাশ শুরু করল। এমন চুল পড়া নিয়ে শুধু গুটিকয়েক মানুষ নয় বরং রোজ তরুন-তরুনীরা এভাবে দুশ্চিন্তায় পড়ছে বারংবার! আসলে আমরা চুল পড়া রোধ করতে চায়, তবে প্রকৃত অর্থে চুল ফিরে পেতে পর্যাপ্ত শ্রম বা সময় দিতে চায় না! একটি হেয়ার কেয়ার রুটিন ও কার্যকরী হেয়ার প্যাক ই পারে অনেকাংশে চুল পড়া রোধ করতে।
চুল পড়া রোধে অন্যতম হেয়ার প্যাক হচ্ছে পেয়াজের রস! এটি শুধুমাত্র চুল পড়া কমায় না বরং নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে।এছাড়া, মেথি, আমলকি, ডিম, মধু এসবে তৈরী হেয়ার প্যাকেও মিলবে চুল পড়ার সমাধান৷ তবে সেই সাথে আপনার ব্যবহৃত হেয়ার প্রোডাক্ট ও হেয়ার কেয়ার রুটিনেও আনতে হতে পারে কিছু পরিবর্তন।
চুল পড়া প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ টিপস:জেনে নিন চুলের ধরন অনুযায়ী হেয়ার কেয়ার প্রডাক্ট, প্রাকৃতিক উপায় ও হেয়ার প্যাকসমুহ
আমরা অনেকেই চুল পড়া কমাতে বিভিন্ন তেল, শ্যাম্পু অথবা ঘরোয়া টিপস এর সন্ধান খুঁজি। সস্তা কিছু বিজ্ঞাপন দেখে আমরা সেই সকল হেয়ার প্রডাক্ট বেস্ট মনে করে ব্যবহার করা শুরু করে দি! আসলে বিষয়টা কতটুক ঝুকিপূর্ণ তা আমাদের কল্পনার বাহিরে। তাই, চুল পড়া রোধে প্রথমেই আমরা ব্যাসিক হেয়ার কেয়ার রুটিনে চুলের ধরন অনুযায়ী প্রোডাক্ট নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করব।
মুলত,স্ক্যাল্পে তেলের পরিমানের ভিত্তিতে চুল কে আমরা ৩ ক্যাটাগরিতে ভাগ করতে পারি-
১.ড্রাই বা শুস্ক চুল(কম),
২.অয়েলি বা তৈলাক্ত চুল (বেশি) এবং
৩. নরমাল অথবা সাধারন চুল ( মিডিয়াম)।
এবার চলুন জেনে নিই, কোন চুলে কি ধরনের হেয়ার প্রডাক্ট এবং হেয়ার প্যাক ব্যবহার করলে চুল পড়া প্রতিরোধে সহায়ক হবে।
চুলের ধরন জানার জন্য একটি টিস্যু পেপার নিয়ে স্কাল্পে রাখুন। যদি বেশি পরিমানে তেলভাব থাকে তবে চুল অয়েলি, যদি বেশি পরিমানে শুষ্ক থাকে তবে ড্রাই হেয়ার। নরমাল রেন্জের মধ্যে তেল থাকলে তা নরমাল বা কম্বিনেশন হেয়ার বলা যায়
চুল পড়া প্রতিরোধে বেস্ট হেয়ার অয়েল ও শ্যাম্পু কম্বিনেশন
চুল অনুযায়ী হেয়ার কেয়ার প্রোডাক্ট বাছাই করুন।নিচের টেবিলে চুলের ধরন অনুযায়ী তেল ও শ্যাম্পু দেওয়া হল।
চুলের ধরন | শ্যাম্পু | তেল |
ড্রাই বা শুষ্ক চুল | অবশ্যই ময়েশ্চারাইজার ও প্রোটিন সমৃদ্ধ শ্যাম্পু হতে হবে। | অলিভ অয়েল, বাদাম তেল। |
অয়েলি বা তৈলাক্ত চুল | তেলযুক্ত এবং ঘন ক্রিমের মত শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন না। অবশ্যই প্লেন শ্যাম্পু হতে হবে। |
আরগান তেল। |
নরমাল বা কম্বিনেশন চুল | মাইল্ড শ্যাম্পু হতে হবে। | নারকেল তেল, বাদাম তেল, অলিভ অয়েল। |
এবার জেনে নিন চুল পড়ার কারণ
নিজেরই অজান্তে আমরা চুলের সর্বনাশ করি। প্রকৃত অর্থে চুল পড়ার মুল কারন উদঘাটন না করে, আমরা আগেই সমাধান করতে ব্যাস্ত হয়ে উঠি। এতে চুলেরও বেহাল দশা হয়, সাথে সমাধান ও আর সম্ভবপর হয়ে উঠে না। এছাড়াও আরও অনেক কারনে চুল পড়া বৃদ্ধি পায়। তাই, প্রথমেই সম্ভাব্য কারনগুলো জেনে নেওয়া আবশ্যক! আর দেরী না করে চলুন মুল কারনগুলো জেনে নি
১.বংশগত কারনে আপনার চুল পড়া স্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেতে পারে।
২. হরমোনাল পরিবর্তনেও চুল পড়া বৃদ্ধি পায়। সাধারনত, মেয়েদের প্র্যাগনেন্সি, মেনোপেস, থাইরয়েড প্রবলেমের সময় হরমোনের কারনে চুল পড়তে শুরু করে।
৩. বিভিন্ন রোগ যেমন, হার্টের সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপ, ক্যান্সার, আথ্রাইটিস ইত্যাদি কারনেও আপনার চুল পড়ার সমস্যায় পড়তে পারেন।
৪. অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা বা ডিপ্রেশনের কারনেও সাময়িকভাবে চুল পড়ার প্রবনতা দেখা যেতে পারে।
৫. অধিকাংশ সময় হেয়ার স্টাইল ও চুল পরার কারন হতে পারে। অনেক টাইড করে চুল বাঁধা। বিভিন্ন হেয়ার স্টাইলিং প্রোডাক্ট যেমন, হেয়ার স্ট্রেইটনার ব্যবহারেরর ফলে চুল পড়তে পারে। অতিরিক্ত তাপে চুলে ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে চুল পড়া শুরু হতে পারে।
৬. সপ্তাহে ৩ দিনের বেশি শ্যাম্পু করলেও চুলের গোড়া নরম হয়ে চুল পড়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
৭. সঠিক হেয়ার প্রোডাক্ট ইউজ না করলেও চুল পরা বাড়তে থাকে।
বিশেষজ্ঞদের মতে,আজকাল চুল পড়া বৃদ্ধির মুল কারন- টেলোজেন এফ্লুভিয়াম যা শারীরিক, মানসিক ও বিভিন্ন রোগের চিকিৎসার ফলে চুল ঝরে পড়তে শুরু করে।করোনা আক্রান্ত বেশিরভাগ রোগী শারীরিক ও মানিসক অবস্থার অবনতির কারনে অধিকহারে চুল পড়ার সমস্যায় ভুগছিলেন।
চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডঃ মোনা মিসলঙ্কার
চুল পড়া প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ১০ টি টিপস-Hair fall solution
যেহেতু, ইতোমধ্যেই আমরা চুল পড়ার সম্ভাব্য কারনগুলো জেনে নিয়েছি। আপনি যদি আপনার চুল পরার আসল কারন চিহ্নিত করতে পারেন তবে সে হিসেবে সমাধানগুলোও জেনে নিতে পারবেন।
১. যেহেতু, দুশ্চিন্তা বা অধিক স্ট্রেসে সাময়িকভবে চুল পড়তে পারে। তাই, দুশ্চিন্তা কমিয়ে এনে আপনি চুল পড়ার সমস্যা থেকে দ্রুতই নিস্তার পেতে পারেন।
২. প্রতি সপ্তাহে ৩দিন হেয়ার কেয়ার রুটিন অনুযায়ী মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে চুল পরিষ্কার করুন।
৩. প্রচুর পরিমানে পানি খাওয়ার অভ্যেস করুন। দিনে অন্তত ৭-৮ গ্লাস পানি খাওয়া শরীর ও চুলের জন্য উপকারী।
৪. গোসলের পর অযথা গামছা দিয়ে চুল বেশিক্ষন বেঁধে রাখবেন নাহ্। এতে চুলের আগা ফেটে চুল পড়া শুরু হতে থাকে।
৫. নিয়মিত শরীরচর্চা স্ট্রেস লেভেল স্বাভাবিক রাখে এবং চুল পড়া ও নিয়ন্ত্রণ করে। তাই, নিয়মিত ২০- ৩০ মিনিটের জন্য হাটুন বা সাতার কাটুন অথবা অন্য ব্যায়াম করুন।
৬. আপনার নিয়মিত খ্যাদাভাসে ভিটামিন, প্রোটিন, আয়রন সমৃদ্ধ খাবার রাখুন৷ এতে চুলের গোড়া শক্ত হয় ও চুল গজাতেও সাহায্য করে।
৭. কখনো ভেজা চুল আচড়াবেন নাহ্। এতে চুলের গোড়া নরম হয়ে চুল পড়ার সম্ভাবনা বাড়ে।
৮. আপনার হেয়ার স্টাইলিং এ হেয়ার স্ট্রেইটনারের হিট ব্যবহার করতে হলে অবশ্যই পরিহার করুন। সাথে, চুল শুকানোর জন্য হেয়ার ড্রায়ারের পরিবর্তে প্রাকৃতিক উপায়ে রৌদ্রে বা ফ্যানের বাতাসে শুকিয়ে নিন।
৯. আপনার স্ক্যাল্প যাতে বেশিক্ষণ ঘামে ভেজা না থাকে।এতে চুলে ড্যানড্রাফ হওয়া শুরু হয় এবং চুল পড়ে।ছেলেদের ক্ষেত্রে এজন্য হ্যালমেট ব্যবহারে চুল পড়তে থাকে।
১০. ভিটামিন ই-ক্যাপসুল ও চুলে ব্যবহার করতে পারেন। এতে স্ক্যাল্পে রক্ত সন্ঞ্চালন বৃদ্ধি পায় এবং চুল পড়া অনেকাংশে কমিয়ে দেয়।
চুল পড়া রোধে সেরা ৫টি হেয়ার প্যাক
যদিও কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চললেি চুল পড়া অনেকাংশে কমে যায়,তবুও সপ্তাহে দু-একটি হেয়ার প্যাক ব্যবহারে আপনি দ্রুতই সমাধান পেতে পারেন। চুল পড়া ত কমবেই, সাথে প্রাকৃতিক উপাদানের সাহায্যে নতুনভাবে চুল গজাতেও এই হেয়ার প্যাকগুলো কার্যকরী।
১. ডিম বা এইগ প্যাক
আমাদের সকলের ক্ষেত্রেই সহজলভ্য উপাদান ডিম। ডিম অধিক প্রোটিনসমৃদ্ধ উপাদান, যা স্ক্যাল্পে রক্ত সন্ঞ্চালন বৃদ্ধি করে এবং চুলের ফলিকলগুলোকে পুষ্টি প্রদানে সাহায্য করে। এতে চুলের গোরা শক্ত হয় এবং চুল পড়া অনেকাংশে কমে যায়। ডিমের কুসুমে থাকা বায়োটিন চুলের হাইড্রেশন ও স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখে। এছাড়া, ডিমের প্যাকটি আপনি যেকোন ধরনের চুলে ব্যবহার করতে পারবেন।
চুলের ধরন | উপকরন | ব্যবহারবিধি | উপকারিতা |
নরমাল বা কম্বিনেশন | ১টি ডিম১ টেবিল চামচঅলিভ অয়েল | ১- ২ দিন | -চুল পড়া কমায়.-স্কাল্পে তেলের পরিমান ব্যালেন্স করে।-চুলের গোড়া শক্ত করে এবং হেয়ার গ্রোথ ত্বরান্বিত করে। |
ড্রাই | ২টি ডিম( শুধুমাত্র কুসুম)১টেবিল চামচ অলিভ অয়েল | ১-২ দিন | -চুল পড়া রোধ করে।-চুলকে করে সফট ও স্মুথ।-স্ক্যাল্পে প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান পৌছাতে সাহায্য করে। |
অয়েলি | ২টি ডিম (শুধুমাত্র সাদা অংশ)১টেবিল চামচ অলিভ অয়েল | ১-২দিন | -চুল পরা কমায়।- স্ক্যাল্পের তৈলাক্ত ভাব নিয়ন্ত্রয়ন করে।-চুলকে ন্যাচারালি কন্ডিশন করতে সাহায্য করে। |
চুলের ধরন অনুযায়ী ডিম ও অলিভ অয়েল একটি বাটিতে মিক্স করে নিন। মিশ্রনটি মাথায় ভালমত লাগিয়ে নিন, যাতে স্ক্যাল্প ও চুল ভালমত কভার হয়। এবার ২০ মিনিট অপেক্ষার পর ধুয়ে ফেলুন। ন্যাচারালি চুল শুকিয়ে নিন।
২. কলা দিয়ে হেয়ার প্যাক
হাতের নাগালেই যেসব জিনিস ব্যবহার করে আপনি চুল পড়া কমাতে পারেন তার মধ্যে কলা অন্যতম। কলার মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেনট, ন্যচারাল অয়েল, পটাশিয়াম ও ভিটামিন। মুলত পটাশিয়াম চুলকে করো কমল ও চুল বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। কলায় বিদ্যমান ন্যচারাল অয়েল চুল পড়া রোধ করে! কলা ড্যানড্রাফ কমিয়ে চুলকে করে আরো প্রানবন্ত এবং উজ্জ্বল।
চুলের ধরনঃ যেকোন ধরনের চুলেই ব্যবহার যোগ্য
প্রথমে ২টা পাকা কলা ব্লেন্ড করে নিন। এবার, ২টেবিল চামচ অলিভ অয়েল, ১টেবিল চামচ নারকেল তেল, ১টেবিল চামচ মধু ব্লেন্ড করা কলার সাথে ভালমত মিকৃস করে নিন। স্কাল্প ও চুলে লাগিয়ে ৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। এবার, কুষুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে চুল শুকিয়ে নিন।
৩. টক দই হেয়ার প্যাক
টকদই আমাদের কাছে তুলনামুলক সহজলভ্য! এই উপাদানটি আপনার চুলের গোড়া শক্ত করে চুলকে মজবুত করে। এছাড়াও টক দই ব্যবহারে চুলের ফলিকলগুলো আর জট বাঁধতে পারেনা, যেকারনে চুল পড়া কমে যায় এবং চুল ড্যামেজ হওয়া থেকে রক্ষা পায়।
চুলের ধরন: যেকোন ধরনের চুলেই ব্যবহার যোগ্য
প্রথমে ১ কাপ টকদই, ১টেবিল চামচ আপেল সিড ভিনেগার, ১ টেবিল চামচ মধু নিয়ে মিক্স করুন ভালমত। এবার, মিশ্রনটি চুলের গোড়ায় ভালমত লাগিয়ে নিন। ১৫মিনিট রাখার পর চুল ধুয়ে ফেলুন।
৪. পেঁয়াজের রস ও ক্যাস্টর অয়েল প্যাক
পেঁয়াজের রস চুল পড়া কমাতে সবচেয়ে কার্যকরী ভুমিকা রাখে। পেঁয়াজের রস ও মাথায় ম্যাসাজ করাতে স্কাল্পে রক্ত সন্ঞ্চালন বৃদ্ধি পায়। সাথে পেঁয়াজে থাকা অতিরিক্ত সালফার চুলের শক্তি বাড়ায় এবং চুল পড়া রোধ করে। এছাড়া পেয়াজে থাকাসালফার স্কাল্পে কোলাজেনের পরিমান বাড়ায় যা চুলের বৃদ্ধিকে তুরান্বিত করে। ক্যাস্টর অয়েলে থাকা অমেগা-৬ ফ্যাটি এসিড চুলে রকৃত সন্ঞ্চালন ও চুল বৃদ্ধিতে ভুমিকা রাখে।
চুলের ধরন: যে কোন ধরনের চুলের জন্য উপযোগী
প্রথমত, ১-২টি বড় আকারের পেঁয়াজ নিন। পেয়াজগুলোকে কুচি করে কেটে ব্লেন্ড করে পেয়াজের রস বের করে নিন। এবার, ৪-৫ চামচ পেঁয়াজের রসের সাথে ২টেবিল চামচ ক্যাস্টর অয়েল মিক্স করে নিন। মিশ্রনটি ধীরে ধীরে স্কাল্পে ও চুলে ম্যাসাজ করুন। ২ ঘন্টা পর শ্যাম্পু দিয়ে চুল পরিষ্কার করে নিন।
[বিঃদ্রঃ অতিরিক্ত পেঁয়াজের রস ড্রাই স্কাল্পে ব্যবহার করলে তা স্কাল্পে উপস্থিত ন্যাচারাল তেল ও ময়েশ্চরাইজার শুষে নেয়। তাই, পেঁয়াজের রস কম ব্যবহার করাই শ্রেয়!]
৫. মেথি ও নারকেল তেল প্যাক
মেথি ও নারকেল তেল চুলের সমস্যা দুরীকরনে ভুমিকা রাখে। প্রতিটি হেয়ার কেয়ার রুটিনে নারকেল তেল ব্যবহার আবশ্যক তা তো জানাই আছে! নারকেল তেল চুলে পুষ্টি জোগায় ও চুলের গুনাগুন বজায় রাখে। মেথির বীজে থাকা এন্টি-অক্সিডেন্ট চুলের গোড়া শক্ত করে এবং চুল পড়া কমায়। অতএব, চুল পড়া প্রতিরোধে মেথি ও নারকেল তেলের ব্যবহার একটিবার হলেও চেষ্টা করে দেখুন। এক্ষেত্রে অবশ্যই চেষ্টা করবেন এক্সট্রা ভার্জিন কোকোনাট ওয়েল ব্যবহার করতে। এখন থেকে পিওর এক্সট্রা ভার্জিন কোকোনাট ওয়েল সংগ্রহ করা অনেক সহজ । তাহলে কেন বাজারের খোলা তেল ব্যবহার করে চুলের ক্ষতি বাড়াবেন। জাস্ট লিংকে ক্লিক করুন।
চুলের ধরনঃ যেকোন ধরনের চুলের জন্য উপযোগী
প্রথমত, ২টেবিল চামচ মেথি বীজ ব্লেন্ডারে মিক্স করে পাউডার বানিয়ে নিন। এবার একটি বাটিতে পাউডার গুলো নিয়ে ১টেবিল চামচ নারকেল তেল মিক্স করে মিশ্রনটি মাথায় লাগিয়ে নিন। বিশেষ করে চুলের গোরায় ভালভাবে লাগান। ১০ মিনিট অপেক্ষার পর এবার চুল শ্যাম্পুর সাথে ধুয়ে নিন।
চুল পড়া প্রতিরোধে হারবাল তেলের উপকারিতা
ব্যস্ততার ভিড়ে ঘরোয়াভাবে হেয়ার প্যাক বানানো অনেকটা কষ্টসাধ্য। যেহেতু এগুলো বেশিদিন সংরক্ষণ করা যায় না। তাই, বার হেয়ার প্যাক তৈরি সময়সাপেক্ষ ও ব্যায়বহুল ও বটে। এত বাড়তি ঝামেলা হয়ত আপনি চান নাহ্! সহজ উপায় নিশ্চয়ই দরকার, তাইতো? ঘরোয়াভাবে অর্গানিক অথবা হারবাল তেল বানিয়ে আপনি নিঃসন্দেহে ভাল উপকার পেতে পারেন। অবসর কিংবা ছুটির দিনে প্রয়োজনীয় সকল উপকরন একত্র করে চটজলদি বানিয়ে ফেলুন হারবাল অয়েল। চুলের যাবতীয় সকল ধরনের সমস্যা একেবারেই সমাধান হয়ে যাবে। হারবাল অয়েল তৈরির প্রধান উপাদান সমূহ জানতে পরবর্তী আর্টিকেলটি পড়ুন।
হারবাল তেলের প্রধান উপাদান সমূহ
ইতোমধ্যে আমি চুল পড়া প্রতিরোধে সম্ভাব্য সকলধরনের তথ্য একত্রে লিপিবদ্ধ করার চেষ্টা করেছি। এছাড়াও, সেরা টিপসগুলো নিজ অভিজ্ঞতা অনুযায়ী শেয়ার করেছি। আশা করছি, আপনাদের hair fall solution সম্পর্কে প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে জানাবেন এবং চুলকে প্রানবন্ত রাখতে চুলের যত্নই নিতে ভুলবেন না যেন। আসসালামু আলাইকুম!