জান্নাত এন্টি হেয়ার ফল অয়েলের উপকারিতা
- চুল পড়া বন্ধ করে।
- চুলের আগা ফাটা রোধ করে।
- চুলের আগা লাল হয়ে যাওয়া রোধ করে।
- চুলের খুষ্কি দূর করে।
- চুলের ময়েশ্চার ধরে রাখে।
- নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।
- চুলের গোঁড়ায় ও মাথার ত্বকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে।
উপাদানসমূহ
প্রায় ত্রিশটি হারবাল উপাদান দিয়ে তৈরি জান্নাত এন্টি হেয়ার ফল অয়েল। আমরা চাই ব্যবহারকারী আত্মবিশ্বাস এর সাথে এই তেল ব্যবহার করুন। তাই এখানে পনেরো টি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান এর বর্ণনা ও কার্যকারিতা দেওয়া হল।
কার্যকারিতাঃ
চুলের যত্নে প্রথমেই উঠে আসে এক্সট্রা ভার্জিন কোকোনাট অয়েলের কথা। চুলকে সুস্থ রাখতে প্রাচীনকাল থেকে ব্যবহৃত হয়ে আসছে এই নারকেল তেল। চুলের ফ্রিজি ভাব কমাতে আমরা শ্যাম্পুর পর চুলে কন্ডিশনার প্রয়োগ করি। তবে নারকেল তেল চুলের ফ্রিজি ভাব অনেকটা কমিয়ে আনে। তাই নারকেল তেলই সবচেয়ে উত্তম কন্ডিশনার। চুলকে নরম ও মসৃন করার জন্য চুলে এর প্রয়োগ করার দরকার। ন্যাচারাল এই কন্ডিশনার চুলকে ভঙ্গুর অবস্থা থেকে মুক্ত করে এবং চুলকে ঘন করে, চুলের সব ধরনের ড্যামেজগুলোকেও রিপেয়ার করে ফেলে।
এছাড়াও নারকেল তেলে আছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল যা মাথার ত্বক এ ফাঙ্গাস প্রতিরোধ করে। যার জন্য চুলের গ্রোথ ভালো হয়। চুলকে খুশকি থেকে মুক্ত করার জন্য কোকোনাট অয়েলের চেয়ে উপকারী কিছু নেই। এমনকি উকুন দূর করতেও সহায়ক এটি। চুলকে উকুনমুক্ত বা খুশকিমুক্ত করতে চাইলে কোকোনাট অয়েল কার্যকরী।
কার্যকারিতাঃ
অলিভ অয়েলের কে বলা হয় স্বর্গীয় উপহার। এই তেল মাথার ত্বকে ছত্রাক প্রতিকার করে। চুলের গড়ায় পুষ্টি যোগায় ও চুলের আগা ফাটা রোধ করে। এই তেল নিয়োমিত ব্যবহারে চুল পাকা প্রতিরোধ করে।তাই চুলের জন্য অলিভ অয়েল ভালো একটি উপাদান।
কার্যকারিতাঃ
সূর্যমুখী তেল যে মাথার চুলের জন্য উপকারি এটা অনেকেরই অজানা। এটা আসলে প্রাকৃতিক ভিটামিন ই। আরও এতে আছে লিনোলিক এসিড। যার জন্য চুলে এর প্রয়োগ চুলকে সামান্য সময়ের মধ্যেই মসৃন ও স্বাস্থ্যজ্জ্বল করে তোলে। কারণ, লিনোলিক এসিডের কাজই হলো ত্বক বা চুলকে মসৃন করে তোলা। সূর্যমুখী তেল চুলে ব্যবহার করলে চুল পড়া কমতে থাকে আর, চুল দ্রুত বৃদ্ধি পায়।
কার্যকারিতাঃ
অন্যান্য সবকিছুর পাশাপাশি চুলের জন্যও দারুন উপকারী একটি উপাদান হলো কালোজিরার তেল। এতে আছে দারুণ সব গুণাবলি। চুল পড়া কমাতে চাইলে, নতুন চুল গজানোর জন্য, চুলের বৃদ্ধি ঘটাতে সব ক্ষেত্রেই কালোজিরার তেল খুব উপকারী।
কার্যকারিতাঃ
ক্যাস্টর অয়েলও অনেকেই আালাদাভাবে চুলে প্রয়োগ করে থাকেন। চুলে ক্যাস্টর অয়েলের ম্যাসাজ রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে দেয়। আবার, চুলের বৃদ্ধির জন্য অনেকে ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহার করেন। চুলের কোষগুলোকে সতেজ রাখতে সহায়ক এই ক্যাস্টর অয়েল।
কার্যকারিতাঃ
আমলকীতে আছে ভিটামিন সি, খনিজ, ফাইটো নিউট্রিয়েন্ট। ভিটামিন সি চুলেকে মসৃন রাখার জন্য সহায়ক। এর পাশাপাশি, চুলের মৃত কোষগুলোকে দূর করে চুলকে পুষ্টিসমৃদ্ধ করে তোলে আমলকী। চুলের ঝরে যাওয়া রোধ করতে দরকারি উপাদান গুলো আমলকীতে বিদ্যমান।
কার্যকারিতাঃ
রক্ত জবা আমাদের বাড়ির আশেপাশেও যেকোনো বাগানে ফুটে থাকে। তবে এটি যে আপনার চুলের জন্য কতটা ভালো হতে পারে, তা হয়তো চিন্তাও করতে পারবেন না। এতে থাকা অ্যামাইনো এসিড চুলের একদম গোড়া থেকে পুষ্টি জুগিয়ে চুলকে ঘন তো করেই, একই সাথে চুলকে সুস্থও রাখে। আর চুলের উজ্জ্বলতা বাড়াতেও এর বেশ নামডাক।
কার্যকারিতাঃ
চুলকে কীভাবে মজবুত করে তুলবেন, সে উপায় খুঁজছেন? তাহলে চুলে মেথি ব্যবহার করুন। মেথি চুলকে একেবারে গোড়া থেকে শক্তিশালী করার পাশাপশি চুলে নিউট্রিশন জোগায়। কারণ, মেথিতে আছে প্রোটিন। আর আছে নিকোটিনিক-ও। যা চুলের ভেতর থেকে পুষ্টি জোগাতে সাহায্য করে।
কার্যকারিতাঃ
মেহেদি পাতা, আমলকী কিংবা হরিতকী এগুলোর গুণাবলি আমাদের প্রায় সবারই জানা। মাথার ত্বককে মসৃন এবং ঠান্ডা রাখার জন্য মেহেদী পাতার কোনো বিকল্প নেই। চুলের বর্ধনে হোক, কিংবা পুষ্টি জোগাতে মেহেদী পাতা দারুণ উপকারী। এছাড়া মেহেদী পাতার ব্যবহার মাথার ত্বককে ঠান্ডা রাখে।
কার্যকারিতাঃ
চুলের যত্নে পেঁয়াজ একটি অসাধারন উপাদান। এটি মাথার ত্বক এর এসিডিটির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে।চুলের গড়া শক্ত করে। এটি চুলের উজ্জ্বলতা বাড়ায়, এতে রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট যা চুলে ঘনভাব আনে ও উজ্জ্বলতা বাড়ায়, চুল পেকে যাওয়ার প্রবনতা কমায়।
কার্যকারিতাঃ
জটামানসি এমন একটি উপাদান যা কিনা চুলের বৃদ্ধির জন্য সহায়ক তো বটেই, একই সাথে মাথার ত্বকের প্রদাহ, ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ পুরোপুরি কমিয়ে ফেলতে সক্ষম। এতে থাকা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান ও অ্যান্টি ইনফ্লেমিটরি চুল পড়া কমিয়ে আনার জন্য উপকারি।
কার্যকারিতাঃ
অনেকেরই চুল পেকে যায় তাড়াতাড়ি। এ নিয়ে পড়তে হয় বেশ কিছু বিড়ম্বনায়। তাই, চুলকে অপ্রত্যাশিত সময়ে পাকতে দিতে না চাইলে, অবশ্যই কালো কেশী ব্যবহার করতে হয়। কেউ বা এটাতে কেশুতী পাতা নামে চিনে থাকবেন। এটি চুলকে কালো ও মসৃন রাখতে সহায়তা করার পাশাপাশি, চুলকে স্বাস্থ্যজ্বল করে তোলে। চুল পড়া কমানোর জন্যও অনেকে কালোকেশর ব্যবহার করেন।
কার্যকারিতাঃ
নিমপাতা তেতো হলেও এর উপকারিতা গুলো দারুণ মিষ্টি। কারণ, চুলে নিমপাতার উপকারের জুড়িমেলা ভার। নিমপাতা ব্যবহার করার ফলে চুল প্রচুর পরিমাণে মজবুত হয়। আপনার মাথার ত্বকে যদি কোনো চুলকানির সমস্যা থাকে, তাহলে তাও দূর করে দেবে নিমপাতা। আর এজন্য আপনার উচিত হবে নিমপাতার উপস্থিতি আছে এমন কোনো তেল ব্যবহার করা। একই সাথে নিমপাতা ব্যবহার করলে চুলের শুষ্ক ও রুক্ষ ভাব কমে যায়। নতুন চুল গজানোর জন্য নিমপাতার ব্যবহার খুবই উপকারী।
কার্যকারিতাঃ
একাঙ্গি শব্দটা অনেকর কাছে অচেনা ঠেকতে পারে। তবে একাঙ্গী আসলে এক ধরণের সুবাসিত আদা। এটাতে আছে বিভিন্ন অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, যা কিনা চুলকে মসৃন করার জন্য উপযুক্ত। চুলের বৃদ্ধিতে একাঙ্গী অনেক উপকারী একটি ভেষজ উপাদান।
কার্যকারিতাঃ
কারি পাতা চেনেন তো? অনেকে আবার তেজপাতা নামেই ভালো চিনতে পারবেন। এটা সবার বাসায় থাকে। তবে চুলে যদি এর প্রয়োগ করা যায়, তাহলে তা হবে সবচেয়ে জাদুকরি। কারি পাতায় উপস্থিত আছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, ভিটামিন সি । এজন্য মাথায় ত্বককে স্বাভাবিক রেখে ময়েশ্চারাইজিং করতে বেশ উপকারী এটা। চুলের মৃত কোষগুলোকে তাড়িয়ে নতুন কোষ গঠনে সাহায্য করে কারি পাতা। একই সাথে কারি পাতায় বিদ্যমান বিটা ক্যারোটিন আর প্রোটিন চুলকে ঘন করে তোলে আর পাতলা চুলের পরিমাণ কমিয়ে আনে। চুলের বৃদ্ধিতেও এর জুড়ি মেলা ভার।
সুতারাং উপরক্তো তথ্য গুলি থেকে দেখতেই পাচ্ছেন আপনার প্রিয় চুলের জন্য কতটা যত্ন সহকারে সবগুলি উপাদান বাছাই করা হয়েছে। আপনি নির্দ্বিধায় এই তেল ব্যবহার করতে পারেন,কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়া।
জান্নাত এন্টি হেয়ার ফল অয়েলের বৈশিষ্ট্য
- এই তেলে কোন রকম ক্যামিক্যেল ব্যবহার হয় নি, ১০০% ভেষজ উপাদান এ তৈরি।
- এটা সব বয়সি মেয়ে ও ছেলের ব্যবহার উপযোগী।
- সম্পূর্ণ দেশীও উপাদান এ তৈরি।
- প্রতিটি হার্বস সুর্যের আলোয় ড্রাই করা যেন এর গুনাগুন ঠিক থাকে।
- ড্রাই হার্বস ব্যবহার করায় এই তেলে কোন জ্বলীয় উপাদান নাই, তাই এই তেল অনেক দিন ভাল থাকে।
- তেল অত্যন্ত যত্ন সহকারে প্রস্তুতকৃত, তাই এটি চুলের জন্য অত্যন্ত কার্যকর।
ব্যবহার বিধি
চুল পড়ার ধরন অনুযায়ী পরিস্কার মাথায় সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন ব্যবহার করতে হবে। এটা মাথায় এমন ভাবে ম্যাসেজ করতে হবে যেন প্রতিটি চুলের গড়াই এই তেল পৌছায়। ভাল ফলাফল এর জন্য রাত্রে ব্যবহার করা উত্তম।
গ্যারান্টি
এই তেল তৈরি তে কৃত্রিম কোন ঔষধ বা হরমোন ব্যবহের করা হয়েছে, এটা প্রমান করতে পারলে ক্রয়কৃত মূল্যের দ্বিগুণ মূল্য ফেরত দেওয়া হবে।
তাই আর দেরি কেন, ফুরিয়ে যাবার আগেই অর্ডার করুন।
চুল ও তেল নিয়ে সাধারণ কিছু প্রশ্ন
- আমার অনেক চুল পড়ছে, এই তেলে কি চুল পড়া বন্ধ হবে?
-জ্বী চুল পড়া বন্ধ হবে , কারন এই তেলে অনেক গুলি গুরুত্বপূর্ণ হারবাল উপাদান আছে যা আপনার চুলের দরকারী নিউট্রিশনের জোগান দেয়। এর সাথে অনেক গুলি গুরুত্বপূর্ণ তেলের মিশ্রনও আছে যা প্রাচীন কাল থেকে আজ অবধি সফল ভাবে চুলের যত্নে ব্যবহার হয়ে আসছে। এই তেলের হার্বস কম্বিনেশন এমন ভাবে করা হয়েছে, যেন চুলের যত্নে কোন নিউট্রিশন বাদ না পড়ে।
- এই তেলে কি ১০০% গ্যারান্টি সহকারে চুল পড়া বন্ধ করবে?
-১০০% গ্যারান্টির প্রতিশ্রুতি হল একটা মিথ্যা প্রতিশ্রুতি। সাধারণত তিন কারনে চুল পড়ে। বংশগত কারনে, শারীরিক হরমন জনিত বা সঠিক পুষ্টির অভাবে আর ব্যক্তিগত চুলের যত্নের অভাবে। আমাদের এই তেলের হার্বস কম্বিনেশন এমন ভাবে সাজানো যে চুলের প্রয়োজনীয় পুষ্টির অভাব অবশ্যই দূর করে আপনার চুল পড়া বন্ধ করবে। আমাদের তেল যারা ব্যবহার করছেন তাদের ৮০% এর ই চুল পড়া ভাল হয়ে গেছে।
- এটা কি সাদা চুল কালো করবে?
-জ্বী না। অকালে চুল পাকে সাধারণত জটিল হরমনাল ইমব্যালান্স এর কারনে। তাই এই তেল দিয়ে চুল কালো হবে না।
- এটা কি খুষ্কি দূর করবে?
-জ্বী, এটা চুলের খুষ্কি দূর করে। এতে থাকা পেঁয়াজ, নিমপাতা, কালজিরার তেল খুষ্কি দূর করে।
- এই তেলে কি নতুন চুল গজাবে?
-জ্বী এটা দিয়ে নতুন চুল গজাবে। তবে এটার মূল কম্বিনেশন হল চুল পড়া বন্ধ করা৷ চুলের গ্রোথ বা গজানোর জন্য আমাদের একটি ডেডিকেটেড হেয়ার ওয়েল আছে।
- এই তেল নিয়ে কত দিনে চুল পড়া বন্ধ হবে?
– এটা সত্য যে একদিনেই আপনার চুল পড়া শুরু হয়নি। চুলের প্রতি দীর্ঘদিনের অযত্ন আর অবহেলার কারনেই চুল পড়া শুরু হয়। তাই প্রাকৃতিক উপায়ে আপনার চুল পড়া বন্ধ হতেও কিছুদিন সময় লাগবে। তবে আশার কথা হলো আমাদের এই তেল ব্যবহারের এক মাসের মধ্যেই আপনার চুল পড়া ৪০%-৪৫% কমে যাবে। তাই আমরা বলি অন্তত ৩ থেকে ৪ মাস এই তেল ব্যবহার করতে। তাহলে আপনার চুল পড়া পুরোপুরি বন্ধ হবে ইনশাআল্লাহ।